গাজীপুর, ১৯শে আগস্ট ২০২১: ২৪জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে লক্ষাধিক টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। আজ(বৃহস্পতিবার) সকালে গাজীপুর সদরের ইকবাল সিদ্দিকী এডুকেশন সোসাইটি ‘রুহান স্কলারশিপ’ শিরোনামে এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর নিরঞ্জন বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তির টাকা বিতরণ করেন।
প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মাননীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জনাব লিয়াকত চৌধুরী এবং ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক অসীম বিভাকর।
জার্মান প্রবাসী কচি-কাঁচা একাডেমির প্রাক্তন শিক্ষার্থী ইমাম হোসেন সোহাগ প্রবর্তিত রুহান স্কলারশিপ বাবদ এক লক্ষ টাকা(১,০০০,০০/-) এবং সিঙ্গাপুর প্রবাসী মো: বিল্লাল হোসেন হোসেনের অর্থানুকূল্যে বিশ হাজার টাকা (২০,০০০/-) বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ২৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের মানবিক হওয়ার আহবান জানিয়ে অধ্যাপক অসীম বিভাকর বলেন, “আমরা যারা বেড়ে উঠছি, আমাদের একটা প্রধান সংকট রয়েছে, মানবিকতার সংকট। আমরা যেমন বলি, বৃক্ষ জন্ম থেকেই বৃক্ষ, পশু জন্ম থেকেই পশু কিন্তু মানুষ জন্ম থেকেই মানুষ নয়। অর্থাৎ আমি মানুষের রূপ ধরে জন্মগ্রহণ করেছি বলেই আমি মানুষ বিষয়টি এরকম নয়, মানুষ হবার জন্যে কতগুলো মৌলিক শর্ত পূরণ করতে হয়। ষড়রিপুকে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলেই আমরা মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।”
মানবিক সংকট থেকে মুক্তির লক্ষ্যে লিয়াকত চৌধুরী শিক্ষক-অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনারা শিক্ষার্থীদেরকে একটু আলোর পথ দেখাবেন, আলোর পথ আপনাদের দেখাতেই হবে, তা না হলে কোন পথ নেই। এই কোমলমতি শিশুদেরকে আপনারা কল্পনাপ্রবণ করে তুলবেন, তারা যেন কল্পনা করতে পারে, তারা যেন সৃজনশীল হয়ে উঠতে পারে, পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি তাদেরকে যে মানবিক সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে আমরা যেন তাদেরকে সেই মানবিক সংকট থেকে বের করে নিয়ে আসতে পারি এবং তারা যেন বুঝতে পারে আমরা সবাই মানুষ। মানুষে মানুষে এই মেল-বন্ধন তৈরি করতে না পারলে আমরা কখনোই উন্নতি করতে পারবো না, মানুষ হয়ে উঠতে পারবোনা।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর নিরঞ্জন বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ” আজ যারা এখানে রুহান স্কলারশিপ পেয়েছে তারা সবাই একদিন অনেক বড় দাতা হবে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।”
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকমন্ডলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।